বিনোদন ডেস্ক: ছবিতে মুখ্য চরিত্র নন। মাত্র তিরিশ সেকেন্ডের ভিডিও জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে তাকে। খ্যাতির পাশাপাশি বিড়ম্বনাও সইতে হয়েছে প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়েরকে। গানে ইসলামের অপমান করা হয়েছে, এই অভিযোগ নিয়েই আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিন্দুকদের একাংশ। তবে সে অভিযোগ ধোপে টেকেনি। হাল ছাড়তে নারাজ প্রতিবাদীরা। ফের সুপ্রিম কোর্টে দাখিল হয়েছে পিটিশন। এবার সরাসরি অভিযোগ উঠেছে প্রিয়া প্রকাশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চোখ মারা ইসলাম বিরুদ্ধ।
ভ্যালেন্টাইনস ডে-র ঠিক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল ‘ওরু আদার লাভ’ ছবির ‘মানকিয়া মালারাই পুভি’ গানটি। যে গানের একটি দৃশ্যে চোখের ইশারায় গোটা দুনিয়াকে পাগল করেছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী। রাতারাতি তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে পৌঁছে যায়। প্রিয়া ম্যানিয়া থেকে রেহাই পাননি তারকারাও। নেহা কক্করের মতো গায়িকা প্রিয়ার কায়দায় দর্শকদের মন জয় করেছেন। আবার ঋষি কাপুরের মতো বর্ষীয়ান তারকাও আফসোস করেছেন, কেন প্রিয়া তার জমানায় ছিলেন না।
তবে ভাইরাল হওয়া গানটি নিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছিল ‘ওরু আদার লাভ’-এর গোটা ইউনিটকে। মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে প্রিয়া প্রকাশের গান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছবির পরিচালক ওমর লুলুকে নোটিস পাঠিয়েছিল হায়দরাবাদের ফলকনুমা পুলিশ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬০ ধারায় ফৌজদারি মামালা হয় লুলুর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৫ ধারার আওতায় আরো একটি মামালা হয় তার বিরুদ্ধে।
হার মানেননি প্রিয়া। ছবির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী। সে আবেদন মঞ্জুরও করেছিলেন শীর্ষ আদালত।
সোমবার নতুন করে হায়দরাবাদের দুই বাসিন্দা প্রিয়ার চোখ মারার দৃশ্যকে ইসলাম বিরুদ্ধ বলে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে এ মামলা সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করবে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি।